অকশন শীট কি..? রিকন্ডিশন্ড গাড়ি কেনার আগে কেন অকশন শীট ভ্যারিফাই করা উচিত?

অকশন শীট কি..? রিকন্ডিশন্ড গাড়ি কেনার আগে কেন অকশন শীট ভ্যারিফাই করা উচিত?


গাড়ি একটি পরিবারের স্বপ্ন। ১টি অকশন শীট বাঁচিয়ে দিতে পারে আপনার জীবনের সঞ্চয়।

-প্রকৃত অকশন গ্রেড ও গাড়ির কন্ডিশন জানা।

-নকল অকশন শীট হতে সুরক্ষা

-মেরামত ও দূর্ঘটনাকবলিত গাড়ি হতে সুরক্ষা।

-প্রকৃত রং ও মিটার টেম্পারিং গাড়ি হতে সুরক্ষা।


বাংলাদেশে carmodsbd.com ই প্রথম সরাসরি জাপান হতে নিলামকৃত সকল গাড়ির অকশন শীট সরবরাহ করে আসছে।
ভ্যারিফিকেশন লিংকঃ https://carmodsbd.com/auctionsheet


জাপানি রিকন্ডিশন্ড গাড়ির অকশন শীট কি?

জাপানে ব্যবহৃত গাড়ি সাধারণত অকশন বা নিলামের মাধ্যমে বিক্রয় হতে থাকে। ১টি গাড়ি অকশন হাউজে নিলামের জন্যে আসলে তা পেশাদারী পরিদর্শক দ্বারা পরীক্ষা- নিরীক্ষা করে রেকর্ড ফাইল তৈরি করা হয়, এরপর স্বয়ংক্রিয় মেশিনের সাহায্যে গাড়ির বিশেষ পরীক্ষা- নিরীক্ষা শেষে অকশন শীট বা নিলাম শীট প্রস্তুত করা হয়। এর পর গাড়িটি নিলামের জন্যে অনুমতি পায়।

জাপানে ১০০+ অকশন হাউজ আছে। কিছু অকশন হাউজের অকশন শীট দেখতে আলাদা কিন্তু সব অকশন শীটে একই তথ্য দেয়া থাকে।

একটি অকশন শীটে কি কি তথ্য দেয়া থাকে?

মডেল নাম, উৎপাদন মাস ও বছরঃ শীটে গাড়ির মডেল নাম লিখা থাকে (যেমনঃ এক্সিও একটি মডেল)। সাথে গাড়ি তৈরির মাস এবং বছর ফলে ক্রেতা সহজেই গাড়ির বয়স নির্ধারন করতে পারেন।

 

লট নাম্বারঃ জাপানে সকল গাড়ি বিভিন্ন লটে ভাগ করে রাখা হয়। ফলে সহজেই হাজার হাজার গাড়ির মধ্য থেকে নিদিষ্ট গাড়ি খুঁজে পাওয়া যায়।


ইঞ্জিন সাইজঃ সাধারণত গাড়ির ইঞ্জিন সাইজ সি.সি. অথবা লিটারে প্রকাশ করা হয়। অকশন শীটে গাড়ির ইঞ্জিন সাইজ লিখা থাকে।

চেসিস কোডঃ নিদিষ্ট মডেলের গাড়ির জন্য নিদিষ্ট চেসিস কোড থাকে। যেমন; এক্সিও 2WD ২০১৩ সালের সকল গাড়ির একই ধরনের চেসিসে তৈরি করা। আবার 4WD ২০১৩ সালের এক্সিও চেসিস কোড আলাদা।

চেসিস নাম্বারঃ সকল গাড়ির আলাদা চেসিস নাম্বার থাকে। চেসিস নাম্বার দ্বারা একটি গাড়িকে অপর একটি হতে আলাদা করে। গাড়ির চেসিস নাম্বার দিয়ে সার্চ করে অকশন ভ্যারিফাই করা হয়।

গাড়ির মাইলেজঃ অকশন শীটে গাড়ির মাইলেজ লিখা থাকে অর্থাৎ গাড়িটি নিলামের পূর্বে কত মাইলেজ ছিলো বা কত কিলোমিটার চলেছে।

(মূল কিছু তথ্য দেয়া হয়েছে কিন্তু একটি অকশন শীটে অনেক বেশি তথ্য দেয়া থাকে)


অকশন গ্রেড- অকশন গ্রেড একটি গাড়ির কোয়ালিটি নির্দেশ করে। গাড়ির বিভিন্ন গ্রেডঃ-


গ্রেড S : এই গ্রেডের গাড়ি জাপানে প্রথম রেজিস্ট্রেশন তারিখ হতে ১২ মাসের কম পুরানো। মাইলেজ ১০,০০০ কিলোমিটারের নিচে। ব্রান্ড নিউ গাড়ি ব্যবহার হয়নি মাইলেজ গাড়ির ডেলিভারির জন্যে।


গ্রেড 6 : এই গ্রেডের গাড়ি জাপানে প্রথম রেজিস্ট্রেশন তারিখ হতে ৩৬ মাসের কম পুরানো। মাইলেজ ৩০,০০০ কিলোমিটারের নিচে। প্রায় নতুন গাড়ির মত অবস্থায় রয়েছে।


গ্রেড 5 : গাড়িটি ৫০,০০০ কিলোমিটারের নিচে হবে। বাহ্যিক কিছু খুব ছোটখাটো স্ক্র্যাচ / স্ক্র্যাপ থাকতে পারে আবার থাকতে নাও পারে। বাছাই করার জন্য খুব কঠিন গ্রেড ও দাম তুলনামূলক বেশি হয়।

গ্রেড 4.5 : গাড়ি ১০০,০০০ কিলোমিটারের নিচে হবে। বাহ্যিক কিছু খুব ছোটখাটো স্ক্র্যাচ / স্ক্র্যাপ থাকতে পারে, গ্রেড 6, 5, 4.5 উচ্চ গ্রেড যা আপনাকে গাড়ি ক্রয়ে আত্নবিশ্বাসী করবে।


গ্রেড 4 : গাড়ি ১৫০,০০০ কিলোমিটারের নিচে হবে। বাহ্যিক কিছু খুব ছোটখাটো স্ক্র্যাচ / স্ক্র্যাপ /ডেন্ট থাকবে। ভেতরে স্ক্রাচ/ সিগারেট বার্ণ থাকতেও পারে অকশন শীট দেখে বিস্তারিত জানতে পারবেন। কোন এক্সিডেন্ট হিস্ট্রি নাই। এভারেজ কন্ডিশনের গাড়ি হাওয়ায় কাস্টমারের টার্গেট বেশি এবং আমদানীর জন্যে সর্বাধিক জনপ্রিয়।


গ্রেড 3.5 : বাহ্যিক লক্ষনীয় স্ক্র্যাচ / স্ক্র্যাপ /বৃহৎ ডেন্ট থাকবে, সেসব মেরামতের প্রয়োজন হতে পারে। ভেতরে দাগ/ সিগারেট বার্ণ থাকতে পারে, অকশন শীটে দেখে বাহ্যিক এবং ভেতরের অবস্থা বিস্তারিত জানতে পারবেন।


গ্রেড 3 : বাহ্যিক বৃহৎ স্ক্র্যাচ / স্ক্র্যাপ /বৃহৎ ডেন্ট থাকবে, সেসব মেরামত এবং পেইন্ট প্রয়োজন হতে পারে। ভেতরে দাগ/ সিগারেট বার্ণ থাকতে পারে, গাড়ির কোন পার্টস প্রতিস্থাপিত হতে পারে। অকশন শীটে দেখে বাহ্যিক এবং ভেতরের অবস্থা বিস্তারিত জানতে পারবেন।


গ্রেড 2 : গাড়ি খুব খারাপ অবস্থায় আছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বন্যা কিংবা আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত। এই গ্রেডের গাড়ি ক্রয় হতে বিরত থাকা উত্তম।


গ্রেড 1 : মডিফাই করা হয়েছে/ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যেমনঃ সাধারণ ইঞ্জিনকে টার্বো চার্জ ইঞ্জিনে পরিনত করা, অটোগিয়ার শিফট কে ম্যানুয়াল শিফটে পরিনত করা।


গ্রেড R : দূর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি। অকশন অনুসারে- গাড়ি দূর্ঘটনাজনিত ক্ষতি হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত স্থান মেরামত অথবা ক্ষতিগ্রস্ত পার্টস প্রতিস্থাপন করা হয়েছে সে সকল গাড়ি R (Repaired/Replaced) গ্রেডের অন্তভূক্ত।


গ্রেড RA/0 : এই গ্রেডের গাড়ি দূর্ঘটনায় ক্ষতি হয়েছে যা মাইনর র‍্যাংক করা যেতে পারে, গাড়ির নিচে কোন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং মেরামত করা হয়েছে।


গ্রেড R1 : খুব বেশি মডিফাই করা হয়েছে সাথে মেরামত করা হয়েছে।

গ্রেড *** :এই গ্রেডের গাড়ি বড় দূর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যা এখনো মেরামত করা হয়নি। ইঞ্জিন সহ এমন গাড়ি যা ইঞ্জিনের ত্রুটির কারনের কাজ করেনা।  যেমনঃ সাধারণ ইঞ্জিনকে টার্বো চার্জ ইঞ্জিনে পরিনত করা, অটোগিয়ার শিফট কে ম্যানুয়াল শিফটে পরিনত করা


ইন্টিরিয়র গ্রেডঃ

গ্রেড A : নতুন / নতুনের মত অবস্থা।


গেড B : মেরামতের প্রয়োজন নেই। খুব পরিস্কার ইন্টিরিয়র, রপ্তানির জন্য অধিক জনপ্রিয় গ্রেড।


গ্রেড C : স্ক্র্যাচ/ স্ক্র্যাপ থাকবে, খোলা স্ক্রু মত গর্ত থাকতে পারে। অভ্যন্তরে ধুলাবালি দ্বারা নোংরা পরিস্কার করা প্রয়োজন।


গ্রেড D : অভ্যন্তরে কয়েকটি সিগারেট বার্ণ থাকবে। ড্যাশবোর্ড ক্ষতিগ্রস্ত/ আঘাতের চিহ্ন থাকবে যা মেরামতের প্রয়োজন হবে। অভ্যন্তরে ধুলাবালি দ্বারা নোংরা পরিস্কার করা প্রয়োজন।


গ্রেড E : বড় ধরনের মেরামত প্রয়োজন, ড্যাশবোর্ড ক্ষতিগ্রস্ত/ আঘাতের চিহ্ন থাকবে যা মেরামতের প্রয়োজন হবে। অভ্যন্তরে ধুলাবালি দ্বারা নোংরা এবং দূর্গন্ধ যুক্ত হবে।


এছাড়া কালার কোড (কি রঙয়ের গাড়ি), ইন্সপেক্টর কমেন্ট, টায়ার গ্রেড ইত্যাদি উল্লেখ থাকে।


অকশন শীট ভ্যারিফিকেশন করে আপনি একটি গাড়ি কেনার সুনিদিষ্ট সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। মনে রাখবেন একটি অকশন শীট বাঁচিয়ে দিতে পারে আপনার জীবনের সঞ্চয়।


Auction Sheet Verification Link: https://carmodsbd.com/auctionsheet

Auction sheet Verification Tutorial: https://youtu.be/ZqFol8Yv0v4